মোদি সরকারের শেষ ক্যাবিনেট বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

ছোটো শহরগুলির সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগের জন্য অলসভাবে পড়ে থাকা এবং কম ব্যবহৃত বিমানবন্দরগুলির উন্নয়ন, দুটি বৃহৎ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, দিল্লির বেআইনি কলোনিগুলির স্বত্ব প্রদানের অনুমতি ও সরকারি সংস্থার অংশ বিক্রির বিষয়ে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

Written by SNS March 8, 2019 10:40 am

নরেন্দ্র মোদি (Photo IANSBJP)

দিল্লি, ৭ মার্চ – নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের মন্ত্রীসভার শেষ বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছোটো শহরগুলির সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগের জন্য অলসভাবে পড়ে থাকা এবং কম ব্যবহৃত বিমানবন্দরগুলির উন্নয়ন, দুটি বৃহৎ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, দিল্লির বেআইনি কলোনিগুলির স্বত্ব প্রদানের অনুমতি ও সরকারি সংস্থার অংশ বিক্রির বিষয়ে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আকাশপথে আঞ্চলিক শহরগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য ‘উড়ে দেশ কা আম নাগরিক’ প্রকল্পের অধীনে দেশের বিভিন্ন অংশে অবস্থিত অব্যবহৃত এবং আংশিক ব্যবহৃত বিমানবন্দরগুলির উন্নয়নের জন্য ক্যাবিনেট বৈঠকে ৪৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

বিহারের বক্সারে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের জন্য ১০,৪৩৯.০৯ কোটি টাকা এবং উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে ও মধ্যপ্রদেশের সিঙ্গরৌলি আমেলিয়া কয়লা খনি অঞ্চলে ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১১,০৮৯.৪২ কোটি টাকা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে কিস্তওয়ার জেলায় চেনাব নদীতে কিরু হাইড্রো ইলেক্ট প্রকল্প ৬২৮ মেগাওয়াট  এর জন্য ৪,২৮৭.৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য ২৫,৮১৬.১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সকল ক্ষেত্রেই ক্যাবিনেট কমিটি অন ইকনোমিক অ্যাফেয়ার্স বা সিসিইএ অনুমোদন দিয়েছে।

সরকারি অধীনস্থ সংস্থার শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সময় সময়, মূল্য ও সংস্থার অংশের ব্যাপকতা বিবেচনা করার বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এজন্য সরকারি সংস্থাগুলির সম্পদ বা অংশ বা শেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে ফাস্ট ট্র্যাক স্ট্র্যাটেজিক সেল বা জরুরিভিত্তিক কৌশলগত বিক্রির ব্যবস্থা করার অধিকার প্রদান করা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রুটি রুজির জন্য দরিদ্র মানুষ দিল্লিতে যেসকল বেআইনি কলোনিতে বসবাস করেন সেগুলিতে বসবাসকারীদের স্বত্ব দেওয়ার বিষয়টি শেষ ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কারণ এই সকল কলোনির বাসিন্দারা দেশের বা রাজ্যের নির্বাচনে একটা সিদ্ধান্তকারী অংশ হিসেবে বিবেচিত। দিল্লিতে এমন ১৬৫০ টি কলোনি রয়েছে।